North Bengal Rain Continues: উত্তরবঙ্গে টানা বর্ষণ চলছেই। সোমবারেও খবর এসেছে একাধিক জায়গায় ধস (Landslide) এবং ভাঙনের (Erosion)। খোদ শিলিগুড়িতে (Siliguri) বালাসন (Balason River) নদীর অস্থায়ী সেতু (Tempoirary Bridge) ভেঙে গিয়েছে প্রবল জলের তোড়ে। এর আগে এই জায়গাতেই পাকা সেতু (Concrete) ভেঙে গিয়েছিল গত বছর। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri), আলিপুরদুয়ার (Alipurduar), কোচবিহার (Coachbehar) এলাকার একাধিক জায়গা জলমগ্ন (Waterlogged) হয়ে রয়েছে। দিনের বেলা তবু কমবেশি বিরাম থাকছে, কিন্তু সন্ধ্যা হলেই আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামছে উত্তরবঙ্গে।
বিপসীমার কাছে একাধিক নদী
দার্জিলিং পাহাড় বাদ দিলে গত পাঁচ বছরে নিরিখে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের (Sub Himalayan West Bengal) এই এলাকাগুলিতে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত (Highest Rainfall) হয়ে গিয়েছে। বর্ষার শুরুতেই ভেঙে গিয়েছে প্রায় এক দশকের রেকর্ড (Record Rain)। চলতি মরশুমে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে বলে পূর্বাভাস ছিল। তবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। টানা বৃষ্টিতে বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে তিস্তা (Teesta), তোর্সা (Torsa), জলঢাকা (Jladhaka), মহানন্দা (Mahananda), বালাসন (Balasan), সংকোশ (Sangkosh), কালজানি (Kaljani) সহ একাধিক নদী।
অন্যদিকে এবার দার্জিলিং (Darjeeling) পাহাড়ে অতিবৃষ্টি হয়নি, তাতে খানিকটা রক্ষে। যা বৃষ্টি হয়েছে সব সিকিমের (Sikkim) দিকে। ফলে উত্তর সিকিমের (North Sikkim) একাধিক অংশে ব্যাপক ধস নেমেছে। অন্যদিকে ছোটখাটো ধস অবশ্য প্রতিদিনই নামছে দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং (Kalimpong) সহ সব জায়গাতেই। সোমবারও সেবক (Sevoke) এর কাছে ১০ নম্বর (NH-10) জাতীয় সড়কের কালিঝোরাতে (Kalijhora) নেমে রাস্তা বন্ধ (Road Blocked) হয়ে প্রধান রাস্তা প্রায় ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকে।
রবিবারের সারারাত বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে বর্ষার শুরুতেই ভেঙে গিয়েছে সমস্ত রেকর্ড। জলপাইগুড়িতে ২০১৪ সালে ৫৮১.১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। যা এতদিন পর্যন্ত ছিল সর্বোচ্চ। এ বছরের থেকে মাত্র ১৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সেটা গোটা মরশুমেই এখনই তার কাছাকাছি চলে গিয়েছে চলতি বছরের বর্ষাতে। অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছিল ৪১৭.২ মিলিমিটার ২০১৬ সালে। এ বছর এখনই প্রায় ৭০০ মিলিমিটার এর কাছাকাছি বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। এই দুই জেলাই সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হয়। নীচু এলাকা হওয়ায় অতিবর্ষণে একাধিক এলাকায় পরে এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শিলিগুড়িতে ২০২১ সালের ৮.৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। চলতি বছরে প্রথম মাসেই ৪৬৭.৯৫ মিলিমিটার অর্থাৎ দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গিয়েছে। জলপাইগুড়িতে গত বছর ২০১.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এখন ৪৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। আলিপুরদুয়ারে গতবছর বৃষ্টি হয়েছিল ৪১৭.২ মিলিমিটার। এবার এখনই৬৭০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। কোচবিহারে গতবছর ১৭৩.৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল, মিটার এগিয়ে ৭২০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। একমাত্র দার্জিলিঙে গত বছর ২২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল।এখন পর্যন্ত ১৬৫ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। যা তাদেরকে কিছুটা সুরক্ষিত রেখেছে।