বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলে একটি হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে।
রুটিন টহলের সময় নজর
সোমবার সকালে বন দফতরের কর্মীরা যখন জঙ্গলে রুটিন টহল দিচ্ছিলেন, তখনই তাঁদের নজরে আসে একটি হাতি জঙ্গলে শুয়ে রয়েছে। হাতিটির শুয়ে থাকার ভঙ্গিমা দেখেই তাঁরা অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারেন হাতিটি সম্ভবত মৃত। পরে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন।
বোদাগঞ্জে মেলে হাতিটির দেহ
ঘটনাটি ঘটেছে, জলপাইগুড়ির বোদাগঞ্জ সংলগ্ন বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলের মেচপাড়া এলাকায়। তখন ওই কর্মীরা বনদপ্তরের আধিকারিকদের খবর দেন, খবর পেয়ে ছুটে আসেন বনদপ্তরের আধিকারিকেরা এবং চিকিৎসকেরা। তাঁরাই হাতিটিকে মৃত বলে সরকারি ঘোষণা করেন।
হাতিটির বয়স বছর চারেক
বনবিভাগ সুত্রে জানা গিয়েছে, মৃত হাতিটি পুরুষ। বয়স ৩ থেকে ৪ বছর। ঘন জঙ্গলের মাঝে হাতিটি পড়েছিল। প্রাথমিকভাবে বনকর্মীদের অনুমান এক দু’দিন আগেই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।
মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
তবে কি কারণে, কীভাবে মৃত্যু হল ওই হাতিটির তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। জঙ্গলে হাতির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের বনবস্তি গ্রামাঞ্চল থেকে গ্রামবাসীরা ছুটে যান মৃত হাতিটিকে দেখতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় গরুমারা ফরেস্ট রেঞ্জ থেকে বনবিভাগের আধিকারিক, কর্মী ও চিকিৎসকরা।
হাতিটির ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে
বেলাকোবা ফরেস্টের রেঞ্জার নীলা রাই জানান, কয়েকদিন ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলছিল. উত্তরবঙ্গে যে সমস্ত কারণে ভয় পেয়ে বা শারীরিক অসুস্থতার কারণেও হাতিটির মৃত্যু হতে পারে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ চিকিৎসকরা ময়নাতদন্তের পরই জানাতে পারবেন বলে জানান তিনি। গরুমারা রেঞ্জের চিকিৎসকরা এসে কিছুক্ষণ পর জঙ্গলেই মৃত হাতির ময়নাতন্ত করেন তবে রিপোর্ট এখনও জানা যায়নি।