West Bengal Municipal Elections: পাঁচ মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে বহরমপুর প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন এক প্রার্থী। মঙ্গলবার বেলডাঙা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অনুরাধা হাজরা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Google Maps-এর এই ফিচার ধরিয়ে দিল ইটালির মাফিয়াকে, বিশ সাল বাদ
বেশ সেজেগুজে এসেছিল খুদে। পরনে ছিল শীতপোশাক। কান-মাথা ঢাকা।
আরও পড়ুন: R Madhavan-কে ফ্যান বললেন 'ড্যাডি', 'আঙ্কল বলেই ডাকো সোনা', জবাব তাঁর
এদিন বেলডাঙার বাড়ি থেকে পাঁচ মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে স্বামী তথা বেলডাঙ্গা টাউন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি শুভ হাজরার সঙ্গে বহরমপুর প্রশাসনিক ভবনে আসেন।
আরও পড়ুন: টাটা-বিড়লার এই ২ শেয়ার মালামাল করে দিয়েছে, ২,৭০০ শতাংশ রিটার্ন
সন্তান কোলে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য প্রার্থীদের লাইনে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবেই সকলের নজর কাড়েন বেলডাঙা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা তৃণমূল প্রার্থী।
আরও পড়ুন: 'নিউ ইয়ারে আমি খাইয়ে দেব,' বিহারে বিষ মেশানো খাবার দিয়ে স্ত্রীকে খুন
এদিকে, ছোট্ট শিশুটিও মায়ের কোলে চেপে এদিক ওদিক জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিল এবং কী হচ্ছে যেন বোঝার চেষ্টা করছিল। পরে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফিরে যান তিনি।
আরও পড়ুন: কাঁচা বাদাম এবার ভোজপুরিতে, রাকেশ মিশ্রার ভিডিও VIRAL
বেলডাঙা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন অনুরাধা হাজরা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলডাঙার বনেদি হাজরা পরিবারের এই গৃহবধূ কোনও দিনই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও স্বামী শুভ হাজরা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলায় নয়া COVID-বিধি, বার-রেস্তোরাঁ কতক্ষণ খোলা থাকবে?
গত পুরসভার নির্বাচনে ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে লড়াই করে বিজেপির সুমিত ঘোষের কাছে হেরে যান। শুভবাবু হেরে গেলেও রাজনীতির ময়দান ছেড়ে যাননি। পরে অবশ্য তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: রিটার্ন দিয়েছে ১১, ৬৬৪ শতাংশ, মানে ১ লক্ষ টাকা রেখে পেয়েছেন ১ কোটি ১৭ লক্ষ
শুভবাবু বলেন, "ভোটে হারলেও এলাকার মানুষের পাশে সবসময় রয়েছি। ডাকলেই ছুটে গিয়েছি।এবার সকলেই আমাকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু ১০ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা হওয়ায় আমার স্ত্রী দাঁড়িয়েছেন।"
তিনি আরও বলেন, "আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দিদির সৈনিক হিসেবে আমার স্ত্রী বিপুল ভোটে জিতবেন। স্ত্রীর পাশে সবসময় থেকে মানুষের কাজে সাহায্য করব।"
অনুরাধা হাজরা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এলাকায় শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটি অন্যের জায়গায় চলে। শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের জন্য জায়গা কেনা হয়েছে। ভোটে জেতার পরে প্রথম কাজ হবে নিজস্ব জায়গায় শিশু শিক্ষার ভবনটি তৈরি করা। তাছাড়া আরও যে সমস্যাগুলি রয়েছে সেগুলির সমাধান করা।"