scorecardresearch
 

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে পরিষেবা দিতেই হবে, ফের হুঁশিয়ারি মমতার

রাজ্য জুড়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে মান্যতা দিচ্ছে না বেসরকারি নার্সিংহোমগুলি। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও পরিষেবা না দিলে লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ দিলেন স্বাস্থ্যসচিবকে।

Advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-ফাইল ছবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে পরিষেবা দিতেই হবে
  • অভিযোগ থাকলে নার্সিংহোমের লাইসেন্স বাতিল
  • স্বাস্থ্য সচিবকে বিশেষ নির্দেশ মমতার

এর আগেও ঘোষণা করেছিলেন। তবে কাজ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে অস্বীকার করছে বারবার। গোটা রাজ্য জুড়ে এই সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে। সাধারণ মানুষ, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর গুরুত্ব কি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ও কথা বলতে শুরু করেছেন।

নার্সিংহোমকে আরও একবার হুঁশিয়ারি

জানতে পেরে আরও একবার কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিতে অস্বীকার করলে, সেই অভিযোগ জমা পড়লে তার সত্যতা খতিয়ে দেখা হবে। তাতে সত্যতা থাকলে নার্সিংহোমের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হতে পারে। সোমবার শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্বাস্থ্য় সচিবকে নির্দেশ

তিনি বলেছেন, এটি সরকারি কর্মসূচি। এই কার্ডের মাধ্যমে মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে বাধ্য নার্সিংহোমগুলি। কেউ তা মানতে না চাইলে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য সচিবকে পুরো বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া অন্যান্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পগুলি যাতে ঠিকঠাক লাগু হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন দপ্তরের সচিবদের।

কার্ড নিতে অস্বীকার করলেই ব্যবস্থা

শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যায় স্বাস্থ্য সম্পর্কিত একটি বৈঠকে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ন স্বরূপ নিগমের কাছে শাস্তি নিয়ে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সেই সঙ্গে বলেন, অনেক হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে অস্বীকার করছে। এটা কিন্তু কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। যদি কেউ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড-এ চিকিৎসা পরিষেবা দিতে অস্বীকার করে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে।

সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমেও পরিষেবা

এ ছাড়াও রাজ্যে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি রয়েছে, সেগুলি আপগ্রেড করে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিণত করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে রাজ্যে ৪ হাজার ৮০০ সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। আরও তিন হাজার সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে ১৫ হাজার সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে টেলিমেডিসিন ছাড়াও ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস পরীক্ষা ছাড়া অন্যান্য পরীক্ষা ব্যবস্থা থাকবে।

Advertisement

 

Advertisement