কয়লার দাম আগুন। কয়লা সংকটে ভুগছে উত্তরবঙ্গের চা শিল্প। গত মার্চ মাসের ১ মেট্রিক টন কয়লার দাম ছিল দশ হাজার টাকা। এখন তা কুড়ি হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কয়েক মাসের মধ্যে দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ায় খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। লাভ যা ছিল তাই। খরচ বাড়ায় লাভের পরিমাণ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ
করোনার পর থেকে রানিগঞ্জ-ইন্দোনেশিয়া সহ একাধিক দেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে কয়লা। চা পাতা তৈরিতে আগে খরচ হত ৭-৮ টাকা। এখন তৈরিতে খরচ হচ্ছে ১৬ থেকে ১৭ টাকা। ফলে বাগানে সুদূরপ্রসারী মন্দা তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাগান বন্ধের আশঙ্কা
তবে ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, এমনিতেই বাজার খারাপ। কখনও নিম্নমানের চা বাগানের পাশাপাশি দক্ষিণের চা-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হচ্ছে। তার ওপর কয়লার দাম হয়ে গিয়েছে দ্বিগুন। খরচ বাড়ছে চড়চড়িয়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এভাবে চললে চা বাগান বন্ধ করে দিতে হবে অনেককেই।
রানিগঞ্জের কয়লার খরচ বেশি
অনেকেই জানিয়েছেন করোনার পর যে প্রথম লকডাউন শুরু হয়েছিল, সেই সময় থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে রাজ্যের রানিগঞ্জ অঞ্চলের কয়লা এবং বিদেশ থেকে কিছু আমদানি করা কয়লার উপর ভরসা করতে হচ্ছে। কিন্তু তার খরচ বেশি।
পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হোক, সেটাই চাইছেন সকলে
জানা গিয়েছে কয়লা ছাড়া চা শিল্প অচল। চা তৈরির প্রক্রিয়ার শেষ ধাপে আর্দ্রতা কমাতে ব্রয়লার ব্যবহার হয়।সেখানে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়। এর বিকল্প কিছু নেই। ফলে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু যে যন্ত্রাংশ এখন আছে, তা দিয়ে তা সম্ভব নয়। ফলে সমস্ত যন্ত্রাংশ বদলে ফেলতে হবে বলে জানা গিয়েছে। এই মুহূর্তে কেউ নিতে চাইছে না এবং সেই পরিস্থিতিতে নেই। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশাতেই দিন গুনছেন তারা। আরও কয়েক মাস গেলে কি পরিস্থিতিতে দাঁড়াতে হবে তা কেউ জানেন না।